বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের নামকরণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদের নামে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের নাম ‘সজীব ওয়াজেদ গ্রাউন্ড স্টেশন’ করার প্রস্তাব তুলে ধরেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উদযাপন ও উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করতে গিয়ে এই প্রস্তাব করেন মোস্তাফা জব্বার। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে সজীব ওয়াজেদের হাতে এর একটি স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সফল উৎক্ষেপণ উদযাপন ও উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় অবস্থিত গ্রাউন্ড স্টেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। পরে একটি সুইচ টিপে সজীব ওয়াজেদ গ্রাউন্ড স্টেশনের উদ্বোধন করেন।সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ওই অনুষ্ঠান চলে দুপুর পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিটিআরসি সাবেক এবং বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ও ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার স্বাগত বক্তব্য দেন।
এর আগে গত ১১ মে মহাকাশে সফল উৎক্ষেপণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। তার পর দশদিন লাগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নিজ কক্ষপথে পৌঁছাতে। এরপর শুরু হয় স্যাটেলাইটের ইনঅরবিট পরীক্ষা।১৫ বছর মেয়াদী স্যাটেলাইটটি থেকে সেবা নিতে ইতোমধ্যে আট মন্ত্রণালয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বঙ্গোপোসাগরে অন্তত ৩৫ হাজার জাহাজকে উপগ্রহ সেবা দিতেও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। সব মিলে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করতে খরচ হয়েছে দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে সেবা বিক্রি করে আগামী সাত বছরের মধ্যে এই খরচ উঠবে আসবে বলে ধারণা হিসাব করেছে উৎক্ষেপণকারী সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তথ্যসূত্র:টেকশহর
